রিয়াদ হোসেন :: সাতক্ষীরার তালার খেশরা ফারুক মার্কেট। মার্কেটের একটি ওয়েল্ডিং কারখানার শ্রমিক সুব্রত দাশ ও শেখ ইনামুল ইসলাম। নিত্যদিনের মতো আজও সুব্রত দাশকে কারখানায় কাজ করতে দেখা গেছে। আজ পহেলা মে (শনিবার) সকাল থেকে সহযোগী ইনামুলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
মে দিবস সরকারি ছুটি তারপরও কেন আপনারা কারখানা খুলে কাজ করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সুব্রত দাশ বলেন, ভাই, মে দিবস টিবস বুঝিনা, একদিন কাজ না করলে পরেরদিন আর পেটের ভাত জোগাড় হবে না। সারাদিন কাজ শেষে টাকা পেয়ে সন্ধ্যায় বাজার করে বাড়ি ফিরি।তা দিয়েই চলে আমার তিনজনের সংসার।
তালা ব্রীজের উপর কথা হয় ভ্যান চালক ছাত্তার মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের আর মে দিবস।আজ সকালে মে দিবসের আলোচনা সভায় গিয়েছিলাম আরো সকালে গিয়ে র্যালি করলাম। র্যালি শেষে শ্রমিক নেতারা বক্তব্য দিলেন। শুনে চলে আসলাম। কাজের কাজ কিছুই হলো না। মাঝখানে থেকে দিনের অর্ধেক বেলা ভাড়া মারতে পারলাম না। এখন ভাবছি দিনশেষে আজ যে টাকা হবে তাতে ঠিক মতো সংসার চলবে না।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যান প্রতিটি দেশের শ্রমজীবী মানুষরা। তবে শ্রেণি-বৈষম্যের বেঁড়াজালে তাদের জীবন বন্দি থাকায় কর্মক্ষেত্রে আজও পায়নি সঠিক মূল্যায়ন। তাই শ্রমের মর্যাদা,ন্যায্য মজুরি শুধু ও যুক্তিসঙ্গত কর্ম সময় নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ১৮৯০ সাল থেকে প্রতি বছর পহেলা মে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে অভিহিত। তবে সারা বিশ্বে মহামারি ভাইরাস করোনায় ভিন্ন বাস্তবতায় গতবছরের ন্যায় এবছরও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মে দিবস।