৮ মার্চ (সোমবার) ইউটিউবে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানি মামলা করবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। শেষ পর্যন্ত মামলা করেই ছাড়লেন এই তিনি। দীঘির পাশাপাশি তার বাবা অভিনেতা শুভ্রতকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।
নায়িকা হিসেবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা দীঘির প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছো তুমি নেই’র পরিচালিক ঝন্টু। সেই সিনেমাটিকে কেন্দ্র করেই ঘটল এই মামলার ঘটনা।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝন্টু বলেন, ‘আমার সিনেমার যে সংখ্যা ও সফলতা। তার সঙ্গে এই উপমহাদেশের আর কারো তুলনা হয় না। দীঘি ও তার পরিবার আমার যে মানহানি করেছে সেটির মূল্য ১০ কোটিরও বেশি। যদিও আমি এক কোটি টাকার মামলা করেছি।’
এই পরিচালক আরও বলেন, ‘ছবি মুক্তির কয়েকদিন আগে যখন নায়িকাই বলে সেটি চলবে না, তখন মানুষ সেই ছবি দেখতে যাবে কেন? মুক্তির আগে চলবে না বললে তো সে (দীঘি) পরিচালক এবং প্রযোজকদের হুমকি দিলো, মানহানি ঘটালো। এটা না থামাতে পারলে কালচার হয়ে যাবে। অন্য নায়ক-নায়িকারাও বলবে। সব প্রযোজক-পরিচালকরা হুমকির মুখে পড়বে।’
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
তিনি জানান সিনেমার প্রযোজক সিমি ইসলাম কলিও এদিন জজ কোর্টে হাজির হয়ে দীঘির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার হুমকির পর মঙ্গলবার (৯ মার্চ) নির্মাতা ঝন্টুকে ‘সরি’ও বলেছিলেন দীঘি, ‘‘ঝন্টু আংকেল আমার ওপর কেন এত রাগ করেছেন, সেটা আমি জানি না। আমি এমন কোনও স্টেটমেন্ট বা মন্তব্য করিনি যে, উনি আমার নামে মামলা করতে চাইবেন। উনি আমার গুরুজন। আমার কাছে অনেক সম্মানের একজন মানুষ। আমি যদি কোনোভাবে, কোনও কথায় উনাকে দুঃখ দিয়ে থাকি তাহলে তাকে ‘সরি’ বলছি।’’
ঘটনার সূত্রপাত সম্প্রতি উন্মুক্ত হওয়া সিনেমাটির ট্রেলারকে ঘিরে। এটি প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এতে বিব্রত হন দীঘিও। এক সাক্ষাৎকারে দীঘি বলেন, ‘সিনেমাটি বেশ মানহীন। এটি চলবে না।’ ওই মন্তব্যের জন্যই দীঘির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানি মামলা করবেন বলে ঘোষণা দেন তারই পরিচালক ঝন্টু। এবার সত্যি সত্যি মামলা ঠুকে দিলেন তিনি!