চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার প্রদান বাবদ গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে কয়রা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে প্রথম অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কর্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানে দুদক টিম কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার প্রদানের জন্য প্রত্যেকের নিকট হতে সাড়ে ৩৫০০- ৪০০০ টাকায় গ্রহণের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। টিম গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানতে পারে, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনুগত কয়েকজন ব্যক্তি এ অনিয়মের সাথে জড়িত। টিম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে এবং প্রত্যেক আবেদনকারীকে ভোগান্তি ব্যতিরেকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য অনুরোধ করে। প্রথম অভিযান শেষ একই টিম দ্বিতীয় অভিযান পরিচালনা করে জেলার কয়রা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বাঁধ মেরামতের কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধ । দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম উক্ত বাঁধ মেরামত সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করে। অপরদিকে বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে আনা কাপড় বেআইনিভাবে স্থানীয় বাজারে বিক্রির অভিযোগে, বগুড়ার শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনকালে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে, বরগুনার পাথরঘাটায় রাস্তা নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, রাজবাড়ি জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে নকলনবিশ নিয়োগ ঘুষ দাবির অভিযোগে, নেত্রকোনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এমএসআর সংগ্রহের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে এবং নেত্রকোনা আদর্শ কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজে ভর্তি করিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট হতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বগুড়া, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজবাড়ী এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ হতে ০৬টি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।