চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ছড়িয়েছে বাংলাদেশেও। ইতোমধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীও। করোনা আতঙ্কে সারাদেশে স্বেচ্ছায় ঘরে অবস্থান করছে মানুষ।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হোম কোয়ারেন্টাইনসহ হাসপাতাল ও অন্যান্য কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭ হাজার ১১২ জন।
আর গত ২১ জানুয়ারি থেকে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩০ হাজার ৭৯৬ জন এবং কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৮ জন।
এখন কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৪ হাজার ৭০৮ জন। রোববার (২২ মার্চ) কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ২৩ হাজার ৬৮৪ জন। শনিবার (২১ মার্চ) এই সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ১৭২ জনে। ২০ মার্চে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ১৪ হাজার ২৬৪ জন।
সোমবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ২৯০টি প্রতিষ্ঠার প্রস্তুত করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৪১ জনকে সেবা দেওয়া যাবে। আইসোলেশনের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় আছে ১ হাজার ৫০টি শয্যা।
এছাড়া ঢাকা শহরের কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা , যাত্রাবাড়ীর সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতলে ২৯টি আইসিইউ প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৬টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুতির কাজ চলছে। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৫টি ডায়ালাইসিস শয্যা প্রস্তুত আছেন। আশকোনা হজ ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ৩০০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
আইইডিসিআরের তথ্য উল্লেখ করে এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করেছেন ৬২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে ছয়জনের। এর মধ্যে সবশেষ যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৬০ বছরের বেশি। এই তিনজনের মধ্যে দুইজনের ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে। একজন ভারত, একজন বাহরাইন থেকে আসেন।
এই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ পর্যন্ত সর্বমোট ২২৭ জন আইসোলেশন এ ছিলেন এবং এদের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৮৭জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আছেন ৪০জন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ জন।
প্রসঙ্গত, মহামারী করোনাভাইরাসে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫১৪ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৮। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইউরোপের দেশ ইতালিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৬০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মৃত্যু ৬ হাজার ৭৭। মোটা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯২৭। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭ হাজার ৪৩২ জন।