অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অসংখ্য নীতিমালা, পরিকল্পনা ও আইনের উদ্যোক্তা। তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, জিইডির সদস্য ড. শামসুল আলম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা, যিনি অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে সর্বদা বাংলাদেশের জনগণের জন্য সমতা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসা এবং নিরন্তর দেশপ্রেম দিয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছেন। এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বিদ্যুৎ, কৃষি ও সমবায়, শিল্প ও বিজ্ঞান, গৃহনির্মাণ, অর্থনীতি ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনাসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ এর মধ্যেও আমাদের এ অর্জন, সক্ষমতা ও অগ্রগতি সম্পর্কে সারাবিশ্বের মানুষ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদরা ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধুর সুদক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভের প্রক্রিয়া ও গুরুত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।