চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীতে ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র অসহায় মানুষকে সর্বশান্ত করছে। এই প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে ইতোমধ্যে শত শত অসহায় মানুষ লাখ লাখ টাকা খুঁইয়েছেন। সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে মোঃ শাকিল আহম্মেদ (২৯) নামের একজন প্রতারক চক্রের একজন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের শতাধিক ভুয়া চেকের পাতা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহীদুল ইসলাম আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ ও রিমান্ড শুনানীর জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন। গ্রেফতার আসামি শাকিল আহম্মেদ সোনাডাঙ্গা থানাধীন করিমনগর মসজিদের পেছনের মোঃ সিদ্দিক আহম্মেদের ছেলে। এ ঘটনায় মোঃ আজাহারুল ইসলাম নামের ভুক্তভোগী একজন ব্যাটারী চালিত রিকশা চালক সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলো-ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার মৃত আজাহার খাঁনের ছেলে মোঃ শওকত (৪২) ও মোঃ শওকতের ছেলে মোঃ আফজাল (২৮)। তারা দু’জনে পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় সদর থানাধীন বাগমাার এলাকার বাসিন্দা ব্যাটারী রিকশা চালক মোঃ আজাহারুল ইসলামকে গল্লামারী মোড় এলাকায় বসে এজাহারভুক্ত আসামিরা রিকশার বদলে ইজিবাইক চালানোর পরামর্শ দেয়। এ সময় তিনি ইজিবাইক কোথায় পাবে তা জানালে আসামিরা সহজ কিস্তিতে প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেন। যেহেতু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাটারীর রিকশা চরাচলে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে, তাই পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন তিনি। এরপর তাদের কথা মোতাবেক রিকশা চালক আজাহার গত ২৪ অক্টোবর বসুপাড়া ডলফিন মোড়স্থ এসকে ট্রেডিং কর্পোরেশন নামক ওই প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে ওই প্রতারক চক্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫শ’ টাকা দামে কিস্তিতে আগামী ৫ নভেম্বর একটি ইজিবাইক প্রদানের জন্য দু’টি স্ট্যাম্পে সই রাখেন। এরপর অগ্রিম হিসেবে ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়ে জামানত হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি চেক দেন। পরবর্তীতে রিকশা চালক আজাহারুল বাসায় এসে ওই চেকের পাতা নিকটজনদের দেখালে তাদের একজনের সন্দেহ হয়। চেকের পাতা নিয়ে পরদিন ব্র্যাক ব্যাংকে গেলে ওই চেক জাল ও এই নামে কোন একাউন্ট নেই বলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশকে অবগত করেন ওই রিকশা চালক ও তার স্বজনরা। এরপর পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক শাকিলকে গ্রেফতার করে এবং সেখান থেকে প্রতারণার অনেক আলামত জব্দ করেছেন।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক জানান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে ভ্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধের পর, এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র সাধারণ রিকশা চালকদের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এ ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলে প্রতারিত হওয়ার হাত থেকে অসহায় অনেক মানুষ রক্ষা পাবেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আাদলতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।