চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীর নিরালা প্রান্তিক আবাসিক এলাকায় একটি বাড়িতে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন কারখানা। কারখানায় উচ্চ বৈদ্যুতিক তাপমাত্রায় কাঁচামাল গলিয়ে ও ডায়াসে ফেলে রয়েল প্লাগ, এ্যালভো ও টিসহ নানা সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকাজুড়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ শুধু যে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে ঠিক তা নয়, বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে এসব পণ্য বাজারজাতও করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নগরীর নিরালায় বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। বর্তমানে ওই আবাসিক এলাকায় উঁচু উঁচু অট্টালিকা নির্মিত হয়েছে। যেখানে সমাজের বিত্তশালী লোকজন বসবাস করে। এমন একটি পরিবেশে প্রান্তিক এলাকায় ২নং সড়কে আব্দুল সালামের বাড়িতে (হোল্ডিং নং-১৫৯/৪) গড়ে তোলা হয়েছে প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন কারখানা। যেখানে প্রতিনিয়ত উৎপাদন করা হচ্ছে নানা পন্য।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, কারখানার মধ্যে ৪ থেকে ৫টি কক্ষ। ওই সব কক্ষে বসানো হয়েছে ৭ থেকে ৮টি মেশিন। মেশিনে উচ্চমাত্রায় বৈদ্যুতিক তাপ ও তাপমাত্রার সাথে ডায়েসে দেয়া হচ্ছে কাঁচামাল। ওই কাঁচামাল গলে উৎপাদন হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্য। যা পরে প্যাকেটজাত করে সেলফ-এ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে অধিক তাপে সকল কক্ষ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন কারখানায় কাজ করে। শ্রমিকরা উচ্চ তাপমাত্রায় পণ্য উৎপাদন করে। কারণ তাপ বেশি না হলে ডায়েসে কাঁচামাল গলে না।
এলাকাবাসী ও ভবনে বসবাসকারীদের অভিযোগ, বৈদ্যুতিক তাপে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদনের সময় পুরো কক্ষগুলো গরম হয়ে উঠে। মাঝে মাঝে কক্ষের ভেতর থেকে জানালা দিয়ে আগুনের ফুলকি বের হয়ে আসে। ফলে কারখানার আশপাশে অন্তত ১০টি পরিবার ঝুকির মধ্যে বসবাস করছে। শুধু যে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে ঠিক তা নয়, বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে এসব পণ্য বাজারেও বিক্রি করা হচ্ছে।
কারখানার মালিক মোঃ জসিম খান বলেন, আইন কানুন সম্পর্কে তিনি ভালো জানেন না। তবে কাগজপত্র বের করার জন্য চেষ্টা চলছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিষয়টা নলেজে ছিলো না। তবে যেহেতু জানতে পারলাম তাই রবিবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।