চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ি (বারাকপুর ইউনিয়ন) ভূমি অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অফিসের কাঠের দরজা ভেঙে স্টিলের আলমারিতে থাকা এক লক্ষ ১৮ হাজার ৩৭৬ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। বারাকপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি মঙ্গলবার অফিস শেষে তালা মেরে চলে যান। পরের দিন (অর্থাৎ গতকাল) সকালে এসে ঝাড়ুদার মহিলা চাবি নিয়ে ঝাড়ু দিতে গেলে অফিসের পশ্চিম পাশের দরজার নিচের অংশ ভাঙ্গা দেখে ঝাড়ুদার মহিলা তাকে অবগত করে। তিনি অফিসে গিয়ে দেখতে পান চারটি আলমারিসহ তাদের ড্রয়ারগুলো খোলা। টাকা রাখার জায়গা খোঁজ করে দেখেন টাকা নেই। ১৭ ও ১৮ আগষ্ট ভুমি কর আদায়ের এক লক্ষ ১৮ হাজার ৩ শত ৭৬ টাকা চুরি করে নিয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান, তাৎক্ষণিক দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ সৈয়দ মোশারফ হোসেনসহ পুলিশের একটি টিম এখানে উপস্থিত হন। বেলা ১১টার সময় দিঘলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিপংকর দাস মহেশ্বরপাশা কালীবাড়ি ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তার গাফিলতির কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমি এই বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছি ।এ বিষয়টি মৌখিকভাবে ইউএনও সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আবদুর রাজ্জাক বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসটি কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ জরাজীর্ন বিল্ডিংটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত। এখানে কর্তৃপক্ষের কোন সিকিউরিটি আমাদের চোখে পড়ছে না। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোশাররফ হোসেন জানান, এ ব্যাপারে বারাকপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় একাধিক নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি।
এলাকাবাসী জানায়, এ ভূমি অফিসে মহেশ্বরপাশা, মীরেরডাঙ্গা মৌজা ও যোগীপোল বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকরসহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ অফিসটি দীর্ঘ দিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। এখানে নেই কোন বাথ রুমের ব্যবস্থা। সেবা গ্রহীতা ও অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বাথ রুম নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকা সত্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে কোন সুরাহা হয়নি।