বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত শিশু কিশোরদের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’ পুনরায় চালুর নির্দেশ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ফেসবুক পেইজে ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠান পুনরায় চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিটিভির ওই ফেসবুকের স্ট্যাটাসের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শিশুদের সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য। শিশুপ্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশু-কিশোরদের ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানটি আবার চালু করতে নির্দেশ দিয়েছি।
আমাদের দেশে মাঝে মধ্যে যে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের আস্ফালন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়, এসব আরো কমে যাবে যদি আমরা আমাদের শিশুদেরকে সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়তে পারি, তাদের ভেতরে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সঞ্চার করতে পারি।
সাংবাদিকবৃন্দ দেশের মানুষের মনন তৈরিতে সক্ষম। সাংবাদিকদের হাতে কলম রয়েছে, ক্যামেরাও রয়েছে। মানুষের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তারে কাজ করে তারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ১৩০ ভাষায় গান
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত শিশু-কিশোরদের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল ‘নতুন কুঁড়ি’। মাঝে অনেক দিন বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠানটি।
১৯৬৬ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল নতুন কুঁড়ি। তখন স্বল্প পরিসরে সরাসরি সম্প্রচার করা হতো। তখন মুলত শিশু/কিশোরদের মেধা অনুসন্ধান কার্যক্রম বলতে যা বোঝায় সেই রকম কার্যক্রম হিসেবে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হতো না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে বিটিভিতে মোস্তফা মনোয়ারের নির্দেশনায় নতুন কুঁড়ি নামে জাতীয় টেলিভিশন প্রতিযোগিতা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার কিশোর নামক কবিতা থেকে। যার প্রথম পনের লাইন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী থিম সং হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠে এসেছেন তারানা হালিম, তমালিকা কর্মকার, মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী ও সামিনা চৌধুরী, রুমানা রশীদ ঈশিতা, তারিন আহমেদ, মেহের আফরোজ শাওন, সাবরিন সাকা মীম, নুসরাত ইমরোজ তিশার মতো গুণী শিল্পীরা।