হ্যাঁ আমরা যক্ষা নির্মূল করতে পারি এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি নাটাব খুলনার আয়োজনে যক্ষা রোগী সনাক্তকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক কর্মীদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন স্কুল হেলথ ক্লিনিক সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
নাটাব খুলনার সদস্য হাসান জহির মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এস এম নূর হাসান জনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মো: সবিজুর রহমান,বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার এস এম কামাল হোসেন,বিশিষ্ট গাইনোকোলজিস্ট ডা. শাহানা রাজ্জাক,খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডিএসএমও ডা.সুদীপ্ত সরকার,সাংস্কৃতিক কর্মীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আবৃত্তি শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস। মতবিনিময় সভায় খুলনার বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠনের ৩০ জন কর্মী অংশগ্রহণ করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নাটাব খুলনার এফ এল এস তরুণ কুমার বিশ্বাস।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি সিভিল সার্জন ডাক্তার সবিজুর রহমান বলেন,যক্ষা রোগ প্রতিরোধ ও রোগী সনাক্তকরণে সাংস্কৃতিক কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা হচ্ছেন সমাজের আলোকবর্তিকা। সে কারণে তাদের গৃহীত পদক্ষেপ সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বক্তারা বলেন,যক্ষা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে সরকার যক্ষা রোগীর সংখ্যা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে। বক্তারা সরকার দেশের প্রত্যেকটি জেলা উপজেলায় সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সদর হসপিটাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেখানে টিভি স্ক্রিনিং সেন্টার আছে এখন থেকে সে সকল স্থানে যক্ষা রোগ নির্ণয়ে জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে এছাড়া শিশু দের যক্ষা রোগ নির্ণয় ও ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষা রোগীদের টেস্টের জন্য প্রেরণ করার জন্য সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের অবহিত করেন। অনুষ্ঠানে গীতিকবি ও চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস রচিত যক্ষা রোগ নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন প্রবীর শীল। এছাড়া অনুষ্ঠানে নাটাব খুলনার পক্ষ থেকে ধূমপানবিরোধী প্লাকার্ড প্রদর্শন করা হয়