সিটি নির্বাচন বানচাল করতে আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুরোপুরি ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচন বানচাল করতে আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুরোপুরি ব্যবহার করছে। কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দু-তিন দিন ধরে নগরের পতেঙ্গা থেকে শুরু করে কালুরঘাট পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। ২০ থেকে ৩০ জনের গ্রুপ নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করছে, আর বিএনপি নেতা-কর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে। কাউন্সিলর প্রার্থীকেও এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে। গতকাল বুধবার রাতে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান, বায়েজিদ থানার পুলিশ মেয়র প্রার্থীর মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মো. ইদ্রিস আলী, পাঁচলাইশ থানার পুলিশ মহানগর বিএনপির সদস্য মনজুর আলম মনজু, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী সাকী, হালিশহর থানার পুলিশ মহানগর যুবদলের সহসভাপতি এম এ গফুর বাবুল, ডবলমুরিং থানার পুলিশ উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মহসিন, ডবল মুরিং ও পতেঙ্গা থানা যুব দলনেতা নয়ন, সামিউল, ইউসুফ, ডবল মুরিং থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশা মিয়া, বিএনপি নেতা আবদুল হালিম, মো. ইলিয়াছ, সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলার বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। খুলশীতে বিএনপি নেতা আবদুল হালিম স্বপন, বাকলিয়ায় থানায় মহানগর বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াছিন চৌধুরীর ছেলে ছাত্রদল নেতা সানি, হালিশহরে যুবদল নেতা মুরাদ, মাবুদ ও কিশোরকে বিনা কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।