সুষ্ঠু ভোট ও জনগণ ভোট দিয়ে তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন সেই পরিস্থিতি এখন বাংলাদেশ থেকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা এবং তার নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন হয় ঠিকই, তফশিল হয় ঠিকই, কিন্তু কে জিতবেন তা নির্ধারণ হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে।শেখ হাসিনার বাসা থেকে।সেখান থেকে যে তালিকা হয় সেই তালিকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা প্রকাশ করেন।
দেশব্যাপী চলমান পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে শনিবার কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা তার মনের মতো লোক নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এ কমিশন শেখ হাসিনার রাবার স্ট্যাম্পের মতো। অর্থাৎ অবৈধ ফলাফল সেটাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য সিলমোহর হিসাবে কাজ করছে। নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ভোটের তফশিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন কতিপয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য? দিনের ভোট রাতে নেওয়ার জন্য? নির্বাচন কমিশনের কেউ কেউ এর আগে সরকারি জালিয়াতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা মুমূর্ষু অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ প্রমুখ।
রিজভী বলেন, শনিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের অধিকাংশ পৌরসভায় সরকারি দল ও প্রশাসন যৌথভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পক্ষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। উদ্বেগজনক তথ্য হলো, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর পৌরসভার সব কেন্দ্র দুপুর ১২টার মধ্যে দখল করে নিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এই হলো বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থা।