খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাচার্য ড. শহীদুর রহমান খান ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার যে স্বজনপ্রীতি ও অপকর্ম করেছেন তা তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং তাদের অপসারণের দাবী করেছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান এবং মহাসচিব শেখ মোহাম্মাদ আলী।
উল্লেখ্য খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের অনিয়ম আর স্বজনপ্রীতির চিত্র উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে। এতে দেখা যায়, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিজের ছেলে, মেয়ে, শ্যালক–শ্যালিকার ছেলে ও ভাতিজাকে নিয়োগ দিয়েছেন। স্ত্রীকেও অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে প্রক্রিয়া শেষ করার আগেই তা আটকে যায়।
সব মিলিয়ে উপাচার্য নিজের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের মধ্যে নয়জনকে নিয়োগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ইউজিসির তদন্তে স্বজনপ্রীতি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণও উঠে এসেছে।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের পাঁচজন সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটির অপর সদস্য হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফরোজা পারভীন ও ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক গোলাম দস্তগীর (সদস্যসচিব)। গঠনের এক বছরের বেশি সময় পর তদন্ত কমিটি ২৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়।