ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। শুক্রবার (১২ মার্চ) বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন, শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, আজিমপুর, নীলক্ষেত হয়ে শাহবাগে বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আপনারা ভারতের লেজুড়বৃত্তি করতে গিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ-অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছেন। দেশের প্রশাসন থেকে রাজনীতি আজকে সব জায়গায় ভারত বিভিন্নভাবে হস্তক্ষেপ করছে। এর ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা দরকার হলে জীবন দিবে তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত হতে দিবে না।’
নুর আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সু-সম্পর্ক দরকার। সে সম্পর্ক হবে জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে, জনগণের ন্যায্যতার বিরুদ্ধে। সীমান্তে যারা প্রতিনিয়ত আমাদের নিরীহ ভাই-বোনদের রক্ত ঝরাচ্ছে, যারা ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্র হিন্দুত্ববাদের পৃষ্ঠপোষক সেই নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের মানুষ স্বাগত জানাবে না।’
‘মোদিকে ঢাকায় আনলে তার পরিণাম ভালো হবে না’ উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের জনমতকে উপেক্ষা করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদিকে যদি বাংলাদেশে আনা হয় তার পরিণাম ভালো হবে না। আজকে এটা আমাদের ট্রায়াল ছিল, যদি সরকার বুঝে তাহলে তাদের ভাগ্য ভালো হবে। আর যদি ছাত্র-যুবকদের গর্জনকে উপেক্ষা করেও মোদিকে ঢাকায় আনতে চায়, বাংলাদেশের ছাত্র যুবকরাও রক্ত দিয়ে ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
বিক্ষোভ মিছিল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, সদস্য সচিব ফরিদুল হক, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান, ফারুক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন।