সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
নড়াইল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন কোটিপতি! | চ্যানেল খুলনা

নড়াইল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন কোটিপতি!

নড়াইল প্রতিনিধিঃকোটিপতি পিওন হিসেবে পরিচিত নড়াইল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক মো. তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস নাসরিন বেগমের নামে দুদক মামলা করেছে।মঙ্গলবার দুপুরে যশোর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম মোড়ল মামলাটি দায়ের করেন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে নড়াইল সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত তরিকুল ইসলাম জেলার কালিয়া উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাৎ মুন্সির ছেলে।বতর্মানে নড়াইল পৌরসভার ভাদুলীডাঙ্গায় তার স্ত্রী জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে আলীশান বাড়ি করে সেখানে বসবাস করছেন।তরিকুল ও তার স্ত্রী মিসেস নাসরিন বেগম কর্তৃক পরস্পরের সহায়তায় ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে স্থানান্তর, রূপান্তর করে এবং তা দুদকে গোপন করার অপরাধে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলটি দায়ের করা হয়।

দুদকের তদন্তকালে ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন, যশোরের উপপরিচালকের মাধ্যমে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে তরিকুল ইসলাম তার নিজ নামে ১০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখান।

তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল স্ত্রী নাছরিন বেগমের নামে নড়াইল পৌরসভার ৬৭নং ভাদুলীডাঙ্গা মৌজায় ২৮০ দাগে ২০১ খতিয়ানে ১৪ শতক জমি ক্রয় মূল্য বাবদ ৮ লাখ টাকা, ওই জমির ওপর ভবন নির্মাণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকার সম্পদ সর্বমোট ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেখিয়েছেন।

এ ছাড়া ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার দেনা আছে বলে দুদকের কাছে হিসাব দেখান। দেনার টাকা বাদ দিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৩১ লাখ টাকা।দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সৌরভ দাস ও সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম মোড়ল এ বিয়য়ে তদন্তে মাঠে নামেন। তদন্তকালে ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৩ টাকার সম্পদের হিসাব পান তরিকুল ও তার স্ত্রীর নামে।

ওই টাকা হতে দেনা দেখানো ৭ লাখ ৮০হাজার টাকা বাদ দিয়ে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাড়ায় ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৩ টাকা।২০০১ সাল হতে ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আসামি মো. তরিকুল ইসলাম জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে তা দিয়ে তার ওপর নির্ভরশীল তার স্ত্রীর নামে সম্পদ অর্জন করে।

এ প্রসঙ্গে সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম মোড়ল জানান, অসুন্ধানে প্রাপ্ত সম্পদের ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৩ টাকা হতে তাদের দুদকে দেয়া সম্পদের হিসাব ৩১ লাখ টাকা বাদ দিলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৩ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। অফিস সহায়ক তরিকুল ইসলামের স্ত্রী পেশায় একজন গৃহিণী এবং তার স্বামীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান  বলেন, দুদকের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। শুধু তরিকুল ইসলামই নয় এ রকম দূর্ণীতি নড়াইলের সব রেজিষ্টিঃ অফিসে হচ্ছে । অন‌্যান্ন অফিসের দূর্ণীতিবাজ রেজিষ্টার,উচ্চমান সহকারী,মোহরার,পিয়নসহ যাদের অবৈধ জ্ঞাত আয়বহি ভুত সম্পদ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে । তরিকুলের এ মামলাসহ নড়াইলের অন্যান্য মামলাগুলো বিচার দ্রুত সম্পন্নের প্রত্যাশা করি।

উল্লেখ্য, তরিকুল ইসলাম ২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নড়াইল জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নাইটগার্ড পদে যোগদান করে। এরপর ২০০৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পিয়ন পদে পদোন্নতি পান। ২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কালিয়ায় বদলি হয়। বর্তমানে নড়াইলে কর্মরত আছেন।

https://channelkhulna.tv/

সারাদেশ আরও সংবাদ

যুবলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

ঢাকা মেডিকেল থেকে ‘ভুয়া নারী চিকিৎসক’ আটক

হাসিনার দুঃশাসনের কারণে কোন লোক আ’লীগের নাম বলার সাহস পাচ্ছে না: মাসুদ সাঈদী

জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ে সংগ্রাম করতে হবে না: শফিকুর

খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানোর ৭দিন পর যুবলীগ নেতার মৃত্যু

প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।