চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরুই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লীতে বিএসএফ সদর দপ্তরে এ বৈঠক শুরু হয়। এ সম্মেলন আগামী ২৯ ডিসেম্বর ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক ভিভেক জোহরীর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও আহত অথবা হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো এবং এধরনের কর্মকান্ড বন্ধে করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। সীমান্তে ইয়াবা পাচার, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন, এবং ভায়াগ্রা ও সেনেগ্রসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালান বন্ধেও আলোচনা হবে।
এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্যের কারখানা অথবা গুদাম এবং মাদকের চোরাচালান রোধ, মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ‘কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
সফরকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ২৭ ডিসেম্বর চাওলা ক্যাম্প স্টেডিয়ামে বিজিবি ও বিএসএফ ভলিবল টিমের মধ্যে ‘মৈত্রী কাপ টুর্নামেন্ট (ভলিবল)’ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ ডিসেম্বর সীমান্ত সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।