খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান অন্তর্বরতী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশব্যাপী লুটতরাজ ও খুন-খারাবীতে মেতে উঠেছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আড়ংঘাটা বাজারে রক্তস্নাত দীর্ঘ সংগ্রাম ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার সকল অপচেষ্টা রুখতে এবং সাম্য ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানের লক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সদস্য সচিব তুহিন আরো বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। দুস্কৃতিকারিরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যাসহ গুরুতর আহত করা হচ্ছে। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, আর সেজন্যে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মতলুবুর রহমান মিতুলের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন দৌলতপুর থানা বিএনপির আহবায়ক মুর্শিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন, ইঞ্জি, নুরুল ইসলাম বাচ্চু, গোলাম নবী, রাজাউর রহমান প্রিন্স, আকসির হোসেন সাজু, জামাল শেখ, কাজী নজরুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, ফিরোজা বেগম, হান্নান মোড়ল, নারায়ন মিত্র, এহসানুল ইসলাম শিথিল, শাহজালাল বাদশা, মানিক সরদার, একলাখ মোড়ল, আয়েশা বেগম, রাফেজা বেগম, ফারুক শেখ প্রমূখ। সমাবেশের শুরুতে স্কীনে দেশনায়ক তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্রমেরামতের ৩১দফা জনগনের মাঝে তুলে ধরা হয় এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ মঞ্চ ছেড়ে গ্যালারিতে বসেন।