পাইকগাছা পৌরসভায় লবন পানি উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের নামে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন পাইকগাছা প্রেসক্লাব সভাপতি আইনজীবী এফএমএ রাজ্জাক। জানাগেছে, ৬ ফেব্রুয়ারী সংশ্লিষ্টদের নামে এ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা ২০০৮ এবং মহামান্য হাইকোর্টের রিটপিটিশন নং ৫৭/১০ মতে সুন্দরবন উপকূলীয় বসতী এলাকা ও কৃষি জমিতে নোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষ করে আর্থসামাজিক ও পরিবেশের ক্ষতি থেকে বিরত থাকার আদেশ রয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা উপেক্ষা করে পৌরসভাসহ এ অঞ্চলে বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ বিধ্বংসী লবন পানির চিংড়ি ঘের অব্যাহত আছে।
পাইকগাছা পৌর এলাকায় লবনপানি উত্তোলন বন্ধে ইতোপূর্বে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় সিদ্ধান্ত থাকলেও অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কৌশলে স্লুইস গেট ও ব্যক্তিগত কল গই দিয়ে লবন পানি উত্তোলন করে চিংড়ি ঘের করছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে চেষ্টা করলে বিতর্কিত ব্যক্তিদের ইন্ধনে বয়রা ও শিববাটি স্লুইস গেট দিয়ে প্রথম শ্রেনির এ পৌরসভায় নোনা পানি উত্তোলন বন্ধ করা যায়নি। এতে বসতি এলাকার পরিবেশ নষ্ট ও কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে, একই সাথে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। নোনার কারনে পৌর এলাকার মানুষের ঘরবাড়ী নষ্ট হচ্ছে। প্রাণীসম্পদ, গাছপালা ও উদ্ভিদ এর মারাত্মক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। মিষ্টি পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। নোনা পানির কারনে মানুষ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এঅবস্থা অব্যাহত থাকলে পৌরসভার অবকাঠামো গুলো ধংস হবে, পরিবেশ ও কৃষি ব্যবস্থা সংকটের মুখোমুখি পড়বে।
এ অবস্থায় লবনপানি মুক্ত করতে পৌরসভার বাসিন্দা আইনজীবী ও সাংবাদিক এফএম এ রাজ্জাক, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের নামে নোটিশ দিয়েছেন। যার অনুলিপি কৃষি সম্পদ মন্ত্রনালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্যসহ খুলনা জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে।