ভারী বৃষ্টিতে পাইকগাছার নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শুক্রবার (২ আগস্ট) নভর অব্যাহত ছিল। ভারি বৃষ্টিতে পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বৃস্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যাচ্ছে, ফসল ও বাড়ির উঠান ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের ভিতর ও বাইরের শত শত চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। জলমগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন জনগন। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুররা কাজ করতে পারেনি। এতে সংসারে টানাটানি পড়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিন্ম আয়ের দিন মজুর। সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। বিভিন্ন খাল, নালা-নর্দমা থেকে পানি উপচে রাস্তা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নিন্মচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ও বৃস্টিতে পানির স্রোতে বাধ ভেঙ্গে গেছে। এতে অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। কাচা ঘরবাড়ী ধসে পড়ায সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কিছু রোপা আমনক্ষেত তলিযে ক্ষতি হয়েছে। নদীতে ভাটা সরলে পানি নেমে যাবে এতে ধানের কোন ক্ষতি হবেনা। বৃস্টিতে এলাকার লবনাক্ত মাটি ধুয়ে গেলে রোপা আমন চাষের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি হবে বলে জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ।
পাইকগাছায় প্রায় ৩০ কি:মি: বেড়ীবাধ ঝুকিপুর্ণ রয়েছে। ভাটায পানি নেমে গেলে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক হযে যাবে।