খুলনাপাইকগাছার আসন্ন পৌরসভা নিবার্চনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়তে চান বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পারিবারিকভাবে গড়ে উঠা দলের ত্যাগী অথচ বঞ্চিত এই নেতা। শেখ কামরুল হাসান টিপু, ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা আওয়ামীলীগের তরুন নেতা। বাবা দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।স্বাধীনতা পরবর্তীতে টিপুদের পরিবারই ছিল আওয়ামীলীগের কাণ্ডারি।
পাইগাছার বাড়িতে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেত্রী থাকাকালে এসে ঘুরে গেছেন। প্রয়াত চাচা শেখ বিলাল উদ্দিন বিলু থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। বড় ভাই শেখ শাহাদত হোসেন বাচ্চু মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। প্রয়াত বাবা শেখ মাহাতাব উদ্দিন মনি ২টার্ম চেয়ারম্যান ছিলেন। ৭১ এ শহীদ হন তিনি।
রাজাকার আল বদরদের হাতে শরীরের ১৮ স্থানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। জন্মলগ্ন থেকেই পরিবার থেকে জনসেবা করতে দেখে এসেছেন টিপু। তিনি নিজেও ৯৭তে পাইকগাছা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন।
২০০৪ এ দ্বিতীয় দফায় কমিশনার হন বিপুল ভোটেই। ২মেয়াদেই প্যানেল চেয়ারম্যান হন। ২০০৯ এ ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন টিপু। কিন্তু পরবর্তীতে দল থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হন টিপু। ২০১৭ তে টিপু জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন টিপু। ২০১৯ সালে টিপু দলের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তিনি পৌর বাসীর পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যাশা নিয়ে আসন্ন পৌর সভা নিবার্চনে বাংলাদেশ আ:লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে জন সাধারণের মাঝে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিবার্চন করার কথা শুনে এবং বিভিন্ন স্থানে গণসংযাগ দেখে পৌরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে নিবার্চনী উৎসাহ-উদ্দীপনা।
উপজেলা সদর তথা পৌর এলাকার বিভিন্ন চায়ের দোকানে, হাটে, বাজারে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। শেখ কামরুল হাসান টিপু। দলীয় মনোনয়ন পেলে আসন্ন পৌর নিবার্চনে মেয়র পদে বিপুল ভোটে তাকে নিবার্চিত করতে চায় আ:লীগের সমর্থক ও ভোটাররা।
জানাযায়, তিনি পৌরবাসীর পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অসহায় দরিদ্র মানুষের কাজ করায়,তাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন শেখ কামরুল হাসান টিপু। ইতিমধ্যেই পৌরবাসী তাকে নিয়ে উন্নত, ডিজিটাল পৌরসভা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
এ ব্যাপারে শেখ কামরুল হাসান টিপু। বলেন, আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়, তাহলে আমি পাইকগাছা কয়রা আসনের এম.পি আলহাজ আকতারুজ্জামান বাবু-র -হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে, দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা বিনিমার্ণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। এই প্রত্যয় নিয়েই আমি দিন-রাত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, ২০০১ সালের নিবার্চনের পর বিএনপি-জামায়েতের দ্বারা আমি অনেক মামলা-হামলা, শারীরিক নিযার্তন সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। আমি বিএনপি জামায়েতের ধ্বংমাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কর্মীদের সাথে নিয়ে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি শাসক হতে চাই না, আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি পৌরবাসী তথা দলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কাছে দোয়া চাই।