পাইকগাছায় ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কপিলমুনি মুক্ত জাতীয় উদযাপন দিবস কমিটি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে। শনিবার সকালে কপিলমুনি বধ্যভমি স্মৃতিসৌধে কপিলমুনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ইউনিয়ন পরিষদ, কপিলমুনি মুক্ত জাতীয় উদযাপন দিবস কমিটি, কপিলমুনি কলেজ, সহচরী বিদ্যামন্দির ও কলেজ ও মেহেরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয় পুষ্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে মহান শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর আলোচনা সভা ও সবশেষে বর্ণাঢ্য র্যালি কপিলমুনি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কপিলমুনি মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার, সিনিয়র সাংবাদিক ও কপিলমুনি মুক্ত জাতীয় উদযাপন দিবস কমিটির সমন্নয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সিনিয়র সাংবাদিক সাকিলা পারভীন রুমা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জামাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শেখ দিদার হোসেন, এ্যাডঃ বিপ্লব কান্তি মন্ডল, অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার, উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল, প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা, সঞ্জয় মন্ডল, প্রভাষক রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগনেতা শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, অনির্বাণ লাইব্ররীর সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ, নিসচা সভাপতি এইচএম শফিউল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিজুল ইসলাম, মানিক ভদ্র, জগদীশ চন্দ্র দে, সাংবাদিক আব্দুস সালাম, তপন কর্মকার, পলাশ কর্মকার ও মহানন্দ অধিকারী মিন্টু।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনী থেকে কপিলমুনিকে মুক্ত করা হয়। এ দিন ১৫১ রাজাকারকে গণ আদালতের রায় মত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। কপিলমুনি মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা অবিলম্বে কপিলমুনি মুক্ত দিবস জাতীয়ভাবে গেজেট প্রকাশ, শহীদদের নামের তালিকা প্রণয়ন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ দ্রুত বাস্তবায়ন, রাজাকারদের ব্যবহৃত বাড়ি ও বীরঙ্গনা গুরুদাসী মাসির বসতবাড়ী সংরক্ষণ করার দাবী জানান।