
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে বেতবুনিয়া আবাসন ও গুচ্ছগ্রাম পানিতে থৈ থৈ করছে। একই ইউনিয়নের টেংরামারী ও ভাঙ্গা হাড়িয়ার ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে বুধবার ৫ হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শতাধিক লোক ভাঙ্গনরোধ করলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। যা বিকেলে ভাটার সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক ৪শতাধিক লোক নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধটি মেরামত করে। এ সময় শতাধিক লোক টেংরামারী পুরাতন গেট সংলগ্ন ওয়াপদার ভাঙ্গনও মেরামত করে। অপরদিকে, দেলুটি ইউনিয়নের চকরি-বকরি বদ্ধ জলমহল ভেঙ্গে ও গেওয়াবুনিয়ার ওয়াপদার বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি এলাকায় প্রবেশ করে। যাতে এলাকায় ব্যাপক মাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মন্ডল বলেন, দ্বীপ বেষ্টিত দেলুটি সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার। বুধবার গদাইপুরের কচুবুনিয়া ও বৃহস্পতিবার লতার কাঠামারীর ওয়াপদার রাস্তা জোয়ারের পানি উপচে শ’শ’ বিঘার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বাঁধ দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এসও ফরিদ উদ্দীন বলেন, টেকসহি বাঁধ না দিলে এসব উপকূলীয় অঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।