পাইকগাছা: – ডিডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরও জমি ছেড়ে না দেয়ায় এবার ইটভাটা মালিক পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। জমির মালিক উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের বিরাশী গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বাদী হয়ে থানায় ইটভাটা মালিক একই গ্রামের আঃ মজিদ মোড়ল ও তার পুত্র মাহবুবুর রহমান মিঠুকে আসামী করে গত ১৫ জানুয়ারী মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মাহবুবুর রহমান মিঠুকে গতকাল শনিবার ভোরে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, মৃত্যুঞ্জয় ঘোষের সহোদর অখিল ঘোষ আঃ মজিদ মোড়লের ইটভাটায় অংশিদার হওয়ার সুবাদে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ ও অখিল ঘোষের ১৮বিঘা পৈত্রিক জমি মৌখিকভাবে ডিড নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেন আঃ মজিদ মোড়ল। এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে ইটভাটার আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে অখিল ঘোষ ও মজিদ মোড়লের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তখন অখিল ঘোষ তাদের ঘেরের জমি ছেড়ে দিতে বললে আঃ মজিদ মোড়ল টালবাহানা শুরু করে। এভাবে ৩/৪ বছর বিনা হারীতে জোর করে অখিল ঘোষদের জমিতে মাছ চাষ করতে থাকে মজিদ মোড়ল। গেল বছরের জানুয়ারীতে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমি ছেড়ে দেবে বলে মজিদ মোড়ল ষ্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গিকার করে। তবে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও জমি ছেড়ে না দেয়ায় আবারো থানায় অভিযোগ করেন অখিল ঘোষ। থানায় দু’দফা বসাবসি হলে মজিদ মোড়ল মৃত্যুঞ্জয় ঘোষের স্বাক্ষরীত একটি জাল ডিডের কাগজ দেখায়। ওই ডিডটা যে জাল-ভূয়া তা থানার বাসাবসিতে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়। সর্বশেষ এ ঘটনায় মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বাদী হয়ে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে থানায় (পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধরায়) মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫, তারিখ-১৫/০১/২০২১। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ জানান, ধৃত আসামী মিঠুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামী আঃ মজিদ মোড়ল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি