খুলনার পাইকগাছায় সেফ ইসলামী গ্রুপ লিমিটেড উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ১৮ অসহায় ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে! হাতিয়ে নেয়া টাকা আদায় ও প্রতারকদের শাস্তির দাবীতে এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।বিভিন্ন তথ্য উপত্তে জানা যায়, উপজেলার দেলুটি ইউপিতে ২০১৫ সালে সেফ নামে একটি এনজিও ঋণ কার্যক্রম শুরু করে। মোঃ মোক্তার হোসেন, আল মামুন, রাজু আহম্মেদ ও ইসমাইল হোসেনের যৌথভাবে কার্যক্রম শুরু করেন। যার ব্যাবস্থাপক মোঃ মোক্তার হোসেন। বাৎসরিক ও মাসিক হিসেবে ব্যাপক লোভনীয় লাভে গ্রাহক বানিয়ে প্রতিজনের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানে দেয়া পাশ বই, চেক ও প্রমানপত্রে দেখা যায়। মাঠ কর্মী আঃ সালাম জানায়, তিনি মাঠ কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে কার্যক্রম শুরু করি। এলাকার ১৮ ব্যক্তির কাছ থেকে বাৎসরিক ও মাসিক টাকা আদায় করি। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ১৩ অক্টোবর ২০১৯ সাল পর্যন্ত আদায়কৃত ৭ লাখ ২১ হাজার ৭শ টাকা কপিলমুনি শাখা ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলামের কাছে জমা প্রদান করি। প্রথম কয়েক বছর লোভনীয় লভ্যাংশ প্রদান করলেও হঠাৎ কোম্পানির কর্মকর্তারা ২০১৯ সালে রাতে পালিয়ে যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অফিসের সামনে শ’শ’ লোকের সমাগম ঘটে ও বিক্ষোভ করে। স্থানীয় প্রশান্ত রায়ের ছেলে প্রতাপ রায় জানায়, তার নিজ সহ পরিবারে ২ লাখ টাকার ৪ টি শেয়ার রয়েছে ও সবুর সানার স্ত্রী খালেদা বেগম জানান, তিনি গরু, ছাগল ও জায়গা জমি বিক্রি করে লাভের আশায় ১ লাখ টাকা জমা দিয়েছি। তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরো বলেন, তার ডানে বায়ে আর কিছু নেই, এখন তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। তৎকালিন শাখা ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, কর্মকর্তারা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে যে সম্পদ সম্পত্তি রয়েছে তা দিয়ে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করার কথা তিনি স্বীকার করেন। এদিকে মঙ্গলবার গ্রাহকের টাকা আদায় ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।