খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৩০ মার্চ এস এম এনামুল হক নিজে বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ১২২ জানের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ২৭ মার্চ পাইকগাছা থানাধীন বেতবুনিয়া গ্রামের আনসারুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করতে যায় এস এম এনামুল হকসহ তার সমর্থকরা। এসময়ে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীসহ তার সমর্থকরা দা, লাঠি, লোহার রড, হকি স্টিক, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো চাকু, রামদা, চা পাতি ও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। এতে এনামুলসহ তার সমর্থকরা মারাত্মক ভাবে জখম হয়। এছাড়া তারা এনামুলকে জখম করার পর তার গলায় থাকা এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দামের চেইন, ৯০ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি আংটি, নগদ ৫০ হাজার টাকা, তিনটি এটিএম কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যায়। এছাড়া এনামুলের দুই সমর্থকের কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এসময়ে তারা ৩০ টি সাইকের ও একাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর করে।
এ প্রসঙ্গে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি বলেন, ‘এ সংঘর্ষের খবর শুনেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় ১০ টি ফাঁকা গুলি করা হয়। পরে দুই পক্ষের থেকে থানায় মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’
উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ সকালে নির্বাচনী পোস্টার টানানোকে কেন্দ্র করে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যানের এস,এম, এনামুল হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ১০ টি ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশ প্রহরায় নছিমনে করে আহতদের পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গুরুতর জখমদের খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।