পালিয়ে বিয়ে করার পরে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা এক মেয়েকে তার স্বামীর জিম্মায় দিতে চাদঁপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে হাইকোর্ট গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, চাদঁপুরের সেগুফতা ইয়াসমিন মেহজাবিন ও কামাল মজুমদার পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন মেয়েটির মা। এ মামলায় ৬ মাস পরে মেয়ে ও ছেলেকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মেয়েকে তার মা নিজের জিম্মায় নেয়ার আবেদন করেন। এতে মেয়ে রাজি না হওয়ায় আদালত তাকে গাজীপুর শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন।
শেখ আলী আহমেদ খোকন বলেন, মেয়েটি শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর সময় ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এরপর ছেলে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে স্ত্রীকে নিজের জিম্মায় নিতে চাদঁপুরের আদালতে আবেদন করেন। তবে তা খরিজ হয়। বিষয়টি নিয়ে তারা হাইকোর্টে আসলে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ককে মেয়ে ও তার বাচ্চাসহ হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার নবজাতকসহ মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মেয়েটিকে তার স্বামীর জিম্মায় দেয়ার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চাদঁপুরকে নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবী।