ছেলের সঙ্গে শিক্ষাভ্রমণে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় গিয়ে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে পিতার মৃত্যু হয়েছে। পৃথক ঘটনায় গাছবোঝাই টমটম উল্টে গাছের চাপায় পিতার সামনেই শিশুপুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন সমুদ্রতীরবর্তী মহিপুর থানার সর্বস্তরের মানুষ।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ঝিনাইদাহ সদর উপজেলার ওজেল আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক শিক্ষা সফরের জন্য কুয়াকাটা যান। সৈকত সংলগ্ন একটি পিকনিক স্পটে রান্নাবান্নার কাজ চলছিল সে সময় মো. বাবলু হোসেন তার সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে মো. মাহিনকে সঙ্গে নিয়ে সাগরে নামেন। সেখানে ছবি তোলার এক পর্যায়ে তিনি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইনুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে বাবলু হোসেনর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতের লাশ আজ নিজ বাড়ি ঝিনাইদাহের ধোপকাটা-গবিন্দপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে নিহতের ছেলে মাহিন নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, সকালে পিতা রুহুল আমিন ও তার ১১ বছরের শিশুপুত্র বাবুল হাওলাদার মহিপুর থানার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে টমটম বোঝাই করে চাম্বল গাছ নিয়ে মহিপুরে বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় নিজশিববাড়িয়া মুলাম গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে টমটমটি উল্টে সড়কে পাশে পড়ে যায় এবং গাছের চাপায় ঘটনাস্থলেই বাবুল হাওলাদারের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় রুহুল আমীনকে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুতে মহিপুর থানায় ইউডি মামলা হয়েছে বলে মহিপুর থানা ওসি মো. মনিরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।