চ্যানলে খুলনা ডেস্কঃত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে পৌরসভার একজন কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (৩১ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া দুজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহার এবং শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দোহা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মোট ৭৪ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ২৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪৫ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, ৩ জন পৌর কাউন্সিলর ও একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহারের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে অনিয়ম করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পরিবারের সচ্ছল সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনসহ ১৬ ব্যক্তির নাম ওএমএসের ভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দোহা মৎস্যজীবীদের ভিজিএফের ৩৫ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন এবং শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। কাজেই ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশীনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শরীয়তপুর জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মীর সালমান রহমান ডালিম এবং দিনাজপুরের বিরল উপজেলাধীন ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮