সুখী মানুষ বাগেরহাট এর দুদকের গণশুনাণীতে ‘সুখী মানুষ’কে নিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘সুখী মানুষ’ এর নির্বাহী পরিচালক নাফিসা আফরোজ।
সংগঠনের প্যাডে লিখিত প্রতিবাদে তিনি জানিয়েছেন, প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। সুখী মানুষ সংস্থায় চাকুরীরত বর্তমানে ৩০৮ জন স্টাফের মধ্যে কেউই সুখী মানুষ এর বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ করেনি। বরখাস্তকৃত দুর্নীতিবাজ চারজন স্টাফের মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগকে গুরুত্বসহকারে অভিযোগ জুড়েদিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
অপরদিকে পার্টনার এনজিও সিডোপ সংস্থা যার দুর্নীতি ও শিক্ষকদের বেতন, শিখন কেন্দ্র ভাড়া এবং ১২ দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ভাতা না দেয়া এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে ব্যাংকের চেকের ১০টি ফাকা পাতায় জোর করে স্বাক্ষর নেয়া সংক্রান্ত অভিযোগ দুদকে জানাতে আসে প্রায় ৫০/৬০ জন শিক্ষক। তাদের অভিযোগ গত ২০/০৯/২০২৩ ইং তারিখে দুদকের গণশুনানিতে সিডোপের বিরুদ্ধে কোন খবর পত্রিকায় ছাপানো হয়নি। সিডোপ এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে ১১৫ জন শিক্ষকের পক্ষে তাজমিরা খাতুন বলেন যে, সিডোপ সংস্থা আমাদের প্রাপ্য বেতন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ, শিখন কেন্দ্রের ঘরভারা, ১২ দিনের বুনিয়দি প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণ ভাতাসহ বিপুল অংকের টাকা তছরূপ করেছে এবং প্রতিটি শিক্ষকের নিকট হইতে ১০ পাতার টাকার অংক ছাড়া ফাঁকা চেক বইয়ে স্বাক্ষর করিয়ে জমা নিয়ে তাদের প্রাপ্য অর্থ আত্মসাৎ করেছে।
এ বিষয়ে উক্ত শিক্ষকগণ প্রতিবাদ করেন তাদের চাকুরি চ্যুতি এবং চেকের মামলা দেয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করেছে। লিড এনজিও হিসাবে সুখী মানুষ ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে অসংখ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অর্থ পরিশোধ করার জন্য ও সাক্ষরিত টাকার অংক ছ্ড়্ ফাঁকা চেক বই ফেরত দেওয়ার জন্য পাঁচবার তাগেদা পত্র দেওয়া হয়েছে এবং সর্বশেষ সতর্কপত্র যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে প্রদান করা হয়েছে। এখানে বিশাল সংখ্যক বঞ্চিত মানুষের অভিযোগ আপনাদের দৃষ্টিতে আসা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলেধরা উচিত ছিলো বলে সুখী মানুষ মনে করে। সুখী মানুষ এর প্রকৃত সংবাদ ও প্রতিকার আশা করে ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সুখী মানুষ তাদের ঐ বরখাস্তকৃত চারজন স্টাফকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিয়ে তাদের পাওনা বেতন বুঝে নেওয়ার জন্য একাধিকবার পত্র দিয়েছে কিন্তু তারা বেতন নেওয়ার জন্য অফিসের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দেয়নি এবং তাদের বেতন নেওয়ার জন্য কোন প্রকার আবেদন করেনি বরং তারা বিভিন্ন দপ্তরে সুখী মানষ এর বিরুদ্ধে পত্র লিখেছে। আরো উল্লেখ যে, সুখী মানুষ সংস্থা নিয়মিত শিখন কেন্দ্রের শিক্ষা উপকরণ এবং শিক্ষক সুপারভাইজারসহ সকল স্টাফদের বেতন-ভাতা ও শিখন কেন্দ্রের ঘর ভাড়া পরিশোধ করে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সুখী মানুষ এর বর্তমান কোন ষ্ট্যাফ কোন প্রকার অভিযোগ করেনি। উপরোক্ত সুখী মানুষ চারটি উপজেলায় উপানুষ্ঠানিক শিখন কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ভাড়া থেকে বিশটি শিখন কেন্দ্রে অতিরিক্ত বেশী ভাড়া প্রদান করে থাকে। কারন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর নির্ধারিত ভাড়ায় সকল যায়গায় উপযুক্ত ঘর পাওয়া যায়নি।
ধন্যবাদান্তে, নাফিসা আফরোজ, নির্বাহী পরিচালক, সুখী মানুষ, আট্টাকা, ফকিরহাট, বাগেরহাট।