জলবায়ু বিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা জন কেরি। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলছেন, জন কেরি ঢাকায় আসছেন ৯ এপ্রিল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আগামী ২২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাইমেট ইস্যুতে একটি সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সেই সম্মেলনের দাওয়াত দিতে তিনি ঢাকায় আসছেন।’
আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল হবে এ সম্মেলন, আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। অনলাইনে ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলনটি বিশ্ববাসীদের দেখার জন্য সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এরপরও এতে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সশরীরেই আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে আসছেন কেরি।
বিষয়টি গর্বের বলে উল্লেখ করেছেন পরররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন। বলেন, ‘উনি না আসলেও পারতেন। কিন্তু উনি প্রধানমন্ত্রীকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এতে আমরা খুবই গর্ব ফিল করছি। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন জলবায়ু ইস্যুকে বড়ই গুরুত্ব দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাইডেন শপথ নিয়েই জন কেরিকে তার জলবায়ু উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্যারিস চুক্তি নিয়ে গভীরভাবে কাজ করেছেন। বলতে গেলে তার চেষ্টাতেই ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জলবায়ু চুক্তি হয়েছিল।
কেরির সফরের সময় বাংলাদেশ প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেবে বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় ডিগ্রিতে নামিয়ে আনার বিষয়ে জোর দেবো। একইসঙ্গে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নত ও শিল্পন্নোত দেশগুলো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোকে যে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের জন্য চাপ দেবো।
‘সেই সঙ্গে ঢাকায় যে জলবায়ু কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, তার জন্য ফান্ড সংগ্রহ ও জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় তার সহায়তা চাওয়া হবে। তাকে বোঝানো হবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে কত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি এবং জলবায়ু পরিবর্তজনিত কারণে আমাদের নদী ভাঙনে বছরে কত মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে।’