চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে পাকিস্তান, ভারতসহ শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীনকেও পেছনে ফেলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের আভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে আরও বেড়ে ৭ দশমিক ৩ হতে পারে।গত বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নত পরিবেশ ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ার সুবিধা নিয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় দেশজ বিনিয়োগ এবং চাহিদা বাড়ায় উৎপাদনও বাড়বে। এ দিকে ভারতে ব্যাংক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তেমন বিনিয়োগ না আসায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে (৩১ মার্চ) প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে ৫ শতাংশ হবে। তবে অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। ২০১৯/২০ অর্থ বছরে (জুন ৩০) পাকিস্তানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৪ শতাংশ হবে এবং পরের অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ শতাংশ হতে পারে। ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে জিডিপিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এরই জের ধরে প্রবৃদ্ধির হার কমে গিয়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশেই হবে বলে মনে হচ্ছে। এ অর্থবছরে নেপালে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, ভুটানে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, মালদ্বীপে সাড়ে ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩ দশমিক ৩, আফগানিস্তানে ৩ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে। এছাড়া সারা বিশ্বে ক্যারিবীয় দেশ গায়ানাতেই সর্বোচ্চ ৮৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এই প্রবৃদ্ধি অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। তবে গায়নার অর্থনৈতিক ভিত্তি বেশ ছোট বলেই তা সম্ভব হবে। রুয়ান্ডা ও জিবুতির প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৮ দশমিক ১ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে।