আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, রাজনীতিবিদদের বিচার হয়, প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ আমলাদের বিচার হয় না। প্রশাসনের গোমর ফাঁস করে দিয়েছি, এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে।
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আবু নাছের চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, বটতলা ও মুজিব কলেজ গেট এলাকায় পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, সব সাংবাদিক, রাজনীতিক, প্রশাসনের লোক খারাপ নয়। যারা খারাপ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে আমি কথা বলছি, বলব। প্রশাসনের লোক কারও কারও টাকা খেয়ে দুর্নীতি করে ষড়যন্ত্র করে। তারা মনে করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাচ্ছি, এদের বিচার করুন। আপনি অমর হয়ে থাকবেন। প্রশাসনের গোমর ফাঁক করে দিয়েছি, এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে। তারপরও বলব, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন ফল, দুর্নীতিবাজ আমলারা শেখ হাসিনাকে গাছসহ দিয়ে দিয়েছেন। এটা বললে আমার দোষ, সত্য কথাগুলো বলার কারণে হয়তো আমার চাকরিটাও থাকবে না।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বহিষ্কার, জেল, গুলি করে হত্যা হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। টাকা দেয়ার আমার অনেক লোক আছে। আমার টাকা কোথা থেকে আসে এ প্রশ্ন কেন?
একটি জাতীয় দৈনিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফোন করে জিজ্ঞেস করে আমার আয়ের উৎস কী? আমার শত শত নেতাকর্মী সমর্থক টাকা দেয়ার আছে। যারা প্রশ্ন করেন, তারা কোথা থেকে টাকা পান-নেন তাও আমি জানি। নানা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছে আমার বিরুদ্ধে। আমার কোনো অভিভাবক নেই, আমার একমাত্র মেয়ে আছে, আমার প্রতি তার দরদ আছে, আল্লাহ আর আপনারা আছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার আয়ের উৎস খুঁজে। এ কৈফিয়ত নেয়ার তারা কে? কৈফিয়ত নিতে হলে শেখ হাসিনা থেকে নিতে হবে। রাজনীতিবিদদের শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষরা রাজনীতির জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন।
আরও একটি জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিকের কথা উল্লেখ করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, তার স্ত্রী ক্যান্সারে অসুস্থ হয়েছিল, চিকিৎসার জন্য আমি টাকা পাঠিয়েছি। তার ছেলে-মেয়ের বিয়েতে স্বর্ণের চেইন দিয়েছি। এরা এখন একরাম চৌধুরীর (নোয়াখালী-৪ সদর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী) টাকা খেয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।