চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণহত্যার ঘটনার কারণ, আততায়ীর সঙ্গে প্রেমিকার ঝামেলা। তার কারণেই নাকি অন্তত ২২ জনের প্রাণ গিয়েছে বন্দুকের গুলিতে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই ভয়াবহ হামলা চালায় প্রেমিক ওর্টম্যান। দেশটির এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ী তার প্রেমিকাকে হেনস্তা করেছিল। যার ফলে রাগে বাড়ি ও তাকে ছেড়ে উডস-এ চলে গিয়েছিল প্রেমিকা। সেই রাগেই গণহত্যা চালিয়েছিল ওই খুনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বন্দুকবাজ তার প্রেমিকাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। এই মুহূর্তে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ওই মেয়েটি। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।
কানাডীয় মাউন্টেড পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ড্যারেন ক্যাম্পবেল বলেছেন, মেয়েটি কোনও ভাবে পালিয়ে বেঁচেছিল, তবে এ ধরণের ধ্বংসলীলা চালানোর পেছনে একেবারেই কোনও পরিকল্পনা ছিল না বললে ভুল বলা হবে।
শনিবার রাতে ৫১ বছরের অভিযুক্ত গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে। রোববার সকালে আরও ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের গাড়ি নিয়ে আসে। গুলি চালনোর পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন মানুষজন। কিন্তু তাতে আরও বিপত্তি ঘটে। তারা এলোপাতাড়ি গুলির মুখে পড়ে প্রাণ হারান।
যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ অফিসারও। পুলিশের পালটা গুলিতে নিহত হন সেই খুনিও। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ হামলার ঘটনা বলে একে চিহ্নিত করছে জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন।