চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মাসুদ রানার (২১) বাড়িতে অনশন করছে হাবিবা খাতুন (১৬) নামে এক তরুণী। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে প্রেমিক মাসুদ রানার বাড়িতে অনশনে বসেন প্রেমিকা হাবিবা খাতুন।
জানা যায়, অনশনরত অবস্থায় প্রথমে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয় ছেলে ও তার পরিবার। পরে আবার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। এরপর প্রেমিক মাসুদ রানা বিয়ে করবে না জানিয়ে গা ঢাকা দেয়। প্রেমিক মাসুদ রানা মুজিবনগর উপজেলার সোনারপুর মাঝপাড়া গ্রামের ইকতার হোসেনের ছেলে। আর প্রেমিকা হাবিবা খাতুন একই উপজেলার মেয়ে।
হাবিবা খাতুন জানান, দীর্ঘ ২ বছর ধরে মাসুদ রানার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। সম্পর্ক চলাকালীন মাসুদ আমাকে তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বন্ধুর বাড়িতে, সিনেমা হলে ও পার্কে নিয়ে গেছে। এছাড়া বিয়ের কথা বলে আমার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমি মাসুদকে বার বার বিয়ের কথা বললে মাসুদ আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি সে আমাকে ছাড়াও অন্য মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক করছে। তাই আমাকে বিয়ে করার জন্য আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিই।
হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবা বলেন, ‘আমি যখন তার বাড়িতে অবস্থান করি প্রথমে তারা আমাকে মেনে নিয়ে ঘরে তুলে নেয় এবং বলে তোমার পরিবারের লোকজনকে খবর দাও আমরা বিয়ে দেব। তাদের কথামত আমি আমার পরিবারের লোকজনকে ফোন করে এখানে আসতে বলি। কিন্তু এর পরবর্তীকালে মাসুদ এসে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। সে বলে তোকে আমার পছন্দ না, আমি বিয়ে করতে পারব না। তুই আমাকে এভাবে বিয়ে করে সুখি হতে পারবি না। এই বলে আবার আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু আমি সবকিছু ভুলে তার বাড়ির উঠানে বসে থাকি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন তার বাড়িতে চলে এসেছি, আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না। শেষ পর্যন্ত যদি বিয়ে না হয় তাহলে আমি আত্মহত্যা করব।
এ বিষয়ে মাসুদের চাচা মুক্তার হোসেন বলেন, ‘মাসুদের বাবা বিদেশে থাকে। আমি আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে মেয়ের লোকজনকে এখানে আসতে বলেছি। তারা আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলে একটা মীমাংসা করব।
ঘটনার বিষয়ে ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে আমি বসব। এরপর দুজনের বিয়ে দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।