বাগেরহাটের ফকিরহাটে ডলি বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে হত্যা অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার লখপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে নিহতের মা বাদি হয়ে থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত ডলি বেগম খুলনার রূপসা এলাকার বাস চালক সোহাগ শেখের স্ত্রী এবং বাগেরহাটের সাইনবোর্ড এলাকার মোক্তার মীরের মেয়ে। ডলি বেগম ও স্বামী সোহাগ শেখ ফকিরহাটের লখপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানান, বুধবার বিকেলে ডলি বেগমের স্বামী সোহাগ শেখ নিহতের মা ও নিকট আত্মীয়দের ফোন করে জানান ডলি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছে। এমন খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা লখপুরে ওই ভাড়া বাড়িতে এসে দেখেন ডলি বেগম মৃত অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছেন। ঘটনাস্থলে নিহতের স্বামীকে না পেয়ে তাকে ফোন করলে জানান তিনি যশোরে আছেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশের উপরিদর্শক (এসআই) আশিক রেজা সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন নিহতের স্বামী তাকে সুকৌশলে স্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
নিহতের মা নার্গিস বেগম, মামি মিহিনা বেগম ও মামাত ভাই সোহেল রানা সহ স্বজরনা জানান, তারা ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ডলি বেগম মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন থানা পুলিশকে অবহিত করেন। তাদের ধারনা ডলির স্বামী তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা নার্গিস বেগম নিজ বাদী হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় হত্যার অভিযোগে একটি লিখিত আবেদন করেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন উদঘাটন করা সম্ভব হবে।