বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন এর অপসারণের দাবীতে উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও সাধারণ জনগণ একত্রিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পৃথকভাবে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী ও মানববন্ধন চলে। ফকিরহাট ডাকবাংলো মোড়, উপজেলা মোড় ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসর ও বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের পূর্নবাসনে কাজ করছে বর্তমান ইউএনও। এজন্য ইউএনওকে অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান উপজেলা বিএনপিসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ জনগণ।
মানববন্ধনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বলেন, ‘পাঁচ তারখের পর সেনাপ্রধান, উপদেষ্টাসহ সকলে জামায়াতের সাথে আলোচনা ও সভা করেছেন। কিন্তু ফকিরহাটের ইউএনও আইনশৃঙ্খলা মাসিক সভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে বিনা ভোটের চেয়ারম্যানদের ডেকেছেন। তিনি ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসরদের পূর্নবাসনে কাজ করে যাচ্ছেন। এই ইউএনও’র অপসারণ করা হোক।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাহুল হুদা সহ অন্যান্যরা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণ চাই।
বিএনপির প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম গোরা, ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক শেখ গোলাম মোস্তফা, এম এ আউয়াল, খান লিয়াকত আলী, কবির আহমে¥দ সহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনসাধারণ।
জামায়াতের আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমীর মাওলানা এবিএম তৈয়াবুর রহমান, সেক্রেটারি আবুল আলা মাসুম, সহকারী সেক্রেটারী সুমন হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, শিবির সভাপতি আবু আইয়ুব আনছারী, যুব বিভাগীয় সভাপতি আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, মাওলানা মোফাজ্জল হায়দার, মাওলানা মোতালেব হোসেন সহ সকল নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন জানান, গত সোমবার উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে মাসিক সভায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ দলীয় বিবেচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা সভায় কারা থাকবে। তবে আমরা সামনের মাসে আইন শৃঙ্খলা সভায় সকল সুধীজনদের আমন্ত্রণ জানাবো।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা থেকে প্রেরিত আইনশৃঙ্খলা সভার তালিকা অনুযায়ী আমন্ত্রণ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ২৩ সেপ্টেম্বর সভা করেন। উক্ত আইনশৃঙ্খলা সভায় বিগত সরকারের সময়ে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থাকায় এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সূধীজনকে আমন্ত্রণ না জানানোয় এলাকায় জনরোষ তৈরি হয়।