অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে অবস্থিত ‘নবী মুসা মসজিদে’ একটি নাচের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে ফিলিস্তিনে।
শনিবার রাতে ওই মসজিদটিতে ড্যান্স পার্টির আয়োজন করে কয়েকজন তরুণ-তরুণী। এতে ডিজে পার্টির পাশাপাশি মদপানও করে তারা। খবর টাইমস অব ইসরাইর ও হারেৎসের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ফিলিস্তিনিরা।
ড্যান্স পার্টির আয়োজকরাই এর একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে।
এতে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ-তরুণী ‘নবী মুসা মসজিদের’ ভেতরে উচু আওয়াজে পশ্চিমা সংগীতের সুরে গাইছে ও নাচছে৷ এর মধ্যেই পরিবেশন করা হচ্ছে মদ।
ওই অনুষ্ঠানটি পরিচালনাকারী ডিস্ক জাকি, (ডিজে) সামা, আল-হাদী এবং আবদ আল-হাদী নামক চারজনকে রোববার রাতেই গ্রেফতার করে ফিলিস্তিনি পুলিশ।
ইসলামিক বিধান অনুযায়ী ফিলিস্তিনে মদপান নিষিদ্ধ রয়েছে। এছাড়া প্রকাশ্যে একসঙ্গে নারী-পুরুষের নাচের ব্যাপারেও কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এসবের তোয়াক্কা না করে কীভাবে মসজিদের ভেতর এমন নাচের অনুষ্ঠান হল- এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে ফিলিস্তিনে। দেশটির সচেতন নাগরিকরা ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছেন
তবে অভিযুক্তরা দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনের পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে তারা অনুমতি নিয়েছিলেন।
এদিকে পিএ সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম মিলহেম বলেছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। মসজিদটিতে আসলে কী ঘটেছে, তা বের করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
ফিলিস্তিনের বিচারপতি মাহমুদ আল-হাবাশ বলেছেন, আমি হজরত মুসা মসজিদের সম্মান ও পবিত্রতা লঙ্ঘনের অপরাধের বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অধ্যাপক আকরাম আল-খতিবের সঙ্গে কথা বলেছি। এতে জড়িত প্রমাণিত হলে সবারই শাস্তি পেতে হবে।