মহামারীতে বিপর্যস্ত নির্মম একটি বছর পার হওয়ার পর বিশ্ব যখন একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে, তখন একদিনে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২১ সালকে মানুষ আশার বছর হিসেবে দেখছে। একের পর এক টিকা উদ্ভাবনে করোনাকে হারিয়ে দেয়ার প্রত্যাশায় আছে সবাই।
গত বছরের শেষলগ্নে চীনের উহানে এক রহস্যময় নিউমোনিয়া শনাক্তের কথা জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরে যার নাম দেয়া হয় কোভিড-১৯। ২০২০ সালে সেই ভাইরাস ১৭ লাখ ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে।
আর নজিরবিহীনভাবে বিধ্বস্ত করে তুলছে বিশ্ব অর্থনীতিকে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে তিন হাজার ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
এ নিয়ে শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে এক কোটি ৯৭ লাখ লোক প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪১ হাজার।
তবে সব বিশেষজ্ঞের মত হচ্ছে– সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এখনও আসেনি। ছুটির দিনগুলোতে বড় বড় জমায়েত হওয়ায় আক্রান্তের বড় বড় ঢেউয়ের মুখোমুখি স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কিন্তু স্বল্পসময়ের মধ্যে করোনার টিকা উদ্ভাবনের কাজ চলছে। বুধবার ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত স্বল্প-খরচের টিকার অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটেন। এ নিয়ে ভাইরাসটির তৃতীয় কোনো টিকার অনুমোদন পেল পশ্চিমা বিশ্ব।
এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।
যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন পাওয়া গেছে। এতে মানুষের উদ্বেগ আরেক ধাপ বেড়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যতটা সম্ভব বেশি মানুষকে টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।