খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে রাতের আঁধারে ঢালাই ও শোভাবর্ধন কাজে নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তার ঢালাই কাজ চলে। পার্শ্ববর্তী লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে স্হানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফুটেজ ধারনকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
তথ্য অনুসন্ধানে ও সরোজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা ঢাঁলাই ও তার পাশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে বাগেরহাট মাহবুব ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল নামক প্রতিষ্ঠান কাজটির কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়।কার্যাদেশ পেয়েই নির্মান প্রতিষ্ঠানটি গত বৃহষ্পতিবার এক রাতেই আঁধারে রাস্তার ঢাঁলাই কাজ সম্পন্ন করে। ঢাঁলাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ঠ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বেলাল হোসেন সহ অন্যান্যরা উপস্হিত থাকলেও নির্মান সামগ্রীর মান অতি নিন্মমানের থাকায় স্হানীয় বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং স্হানীয় সংবাদকর্মীদের জানায়।পরদিন শুক্রবার সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঢাঁলাই দেওয়া স্হানে অংশ বিশেষ ফাঁটল এবং হেজিং দেওয়া ইটের সোলিং খঁসে খঁসে পড়া অবস্হায় দেখতে পায়।সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি জানাজানি হলে পরদিন শনিবার সকালে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অংশ বিশেষ ঢাঁলাইয়ের ফাঁটল হওয়া স্হানে ও খঁসে পড়া সোলিং পুণঃ সংস্কার করে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ কাজের শুরুতেই যদি এ ধরনের অবস্হা হয় তাহলে এর স্হায়ীত্ব কেমন হবে। স্হানীয়রা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে রাতের আঁধারে কাজ করতে দেখেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মিজানুর রহমানের ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি।তাছাড়া ইতিপূর্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যা নিয়ে যে কথা বলেছে বা প্রতিবাদ করেছে তাদের রিরুদ্ধে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে হয়রানী করেছে। শুধু স্থানীয়রা নয় সাংবাদ কর্মীরা তথ্যভিত্তিক কোন নিউজ করলে কিংবা তথ্য – উপাত্ত চাইতে গেলে অশোভনীয় আচরন এবং তার ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হন।তার বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষমতার অপব্যবহার ও এক নায়কতন্ত্রেরও অভিযোগ রয়েছে। তার এই অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ভয়ে অফিসের কেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায় না।
বৃহস্পতিবার ঢালাই কাজ সম্পন্ন করলেও সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ায় নিউজটি করতে বিলম্ব হয়েছে।
মাহবুব ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল কতৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,যথাযথ সিডিউল মেনেই কাজ করা হচ্ছে। নিন্মমানের কোন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বেল্লাল হোসেন এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা ডা.মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের সমস্যা নিয়ে কোন নিউজ করতে হলে তার সাথে আগেভাগে কথা বলে নিতে হবে তানাহলে মান- সন্মান নিয়ে টানাটানি করলে আমি কি ছেড়ে দেবো? তবে কাজ বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোন সদুত্তর দেয়নি।