বটিয়াঘাটার খুলনা-চালনা মহাসড়কের ফুলতলা নামক স্থানে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানি এবং যৌন হয়রানির দায়ে শাহীন বিশ্বাস (৬১) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ। সে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানা এলাকার মৃত আনার উদ্দিনের পুত্র।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পিতা থানায় বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানি এবং যৌন নির্যাতনের (১০) ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বিবরনে প্রকাশ, উপজেলার দেবীতলা গ্রামের মনোজ বিশ্বাসের বটিয়াঘাটা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেধাবী কন্যা প্রতিদিন কলেজে যাওয়া- আসার পথে কথিত শাহীন বিশ্বাস উত্যক্ত করতো। গত ৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে জনৈক ওই ছাত্রী ভ্যান যোগে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ফুলতলা খোকনের বাড়ি এসে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা শাহীন বিশ্বাস ভ্যানের গতিরোধ করে পূর্বের ন্যায় কু- প্রস্তাব দেয় এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ভ্যান থেকে নামানোর চেষ্টা চালায়। কলেজ ছাত্রী ও ভ্যানচালকের আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুঁটে এসে তারা ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর পিতা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বৃহস্পতিবার তার অফিসে উভয় পক্ষকে ডাকেন। এক পর্যায়ে ঘটনার সত্যতা মিলে যাওয়ায় থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানি এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই ছাত্রীর পিতা মনোজ মন্ডল বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
ইভটিজার শাহীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এলাকায় অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাত, র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অসংখ্য মানুষকে সর্বশান্ত করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি রিপন কুমার সরকার জানান, প্রাথমিক তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামির বিরুদ্ধে রীতিমতো মামলা রুজু হয়েছে। ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধি। ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।