বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বিচারহীনতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেশকে একটি জংলী রাস্ট্রে পরিণত করেছে। ধর্ষণ, হত্যা, খুন, গুম, শিশু নির্যাতন সীমাহীন দুর্নীতি রোধে ব্যর্থ সরকার দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের উচ্ছৃঙ্খলা আইন না মানার প্রবণতা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিস্কৃয়তা দেশে ভয়াবহ পরিণিতির সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১ টায় খুলনা মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের গণধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শরীফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে ধর্ষণকারী ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে বলেন, যে ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক প্রধান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না। গত ১২ বছর তার সোনার ছেলেরা দেশব্যাপী হত্যা, গুম, সন্ত্রাস, ধষণ, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, শিক্ষাঙ্গণ দখল, মাদক ব্যবসার মত জঘন্য অপরাধ করলেও সন্ত্রাসী সবসময় ধরা ছোয়ার বাহিরে ধেকে গেছে। কোন সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার না হওয়ায় তাদের ঘৃণিত কাজ বন্ধ হয়নি। বক্তারা বলেন, যে আওয়ামী লীগ পাপিয়া, সাবরিনা ও সম্রাটের জন্ম দিয়েছে, যে দেশে ছাত্রলীগ কর্মী ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করে আর ড্রাইভাররা শত শত কোটি টাকার মালিক হয় তাদের হাতে দেশ ও জনগন নিরাপদ নয়। এই ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে না পারলে দেশ ধ্বংস হবে।
বক্তারা জনগনকে বর্তমান ভোট ডাকাতির সরকারকে বিদায় করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠায় গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যোগ দেবার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. এসএম শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা শেখ মোশাররফ হোসেন, স ম আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, রেহানা ঈসা, জুলকার নাইম, ইফতেখার জামান নবীন, মাসুম বিল্লাহ, রাজিবুল আলম বাপ্পী, তানভীরুল আলম। মানববন্ধন পরিচালনা করেন আল আমিন তালুকদার প্রিন্স এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন কিমিয়া শাহাদাৎ।
উপস্থিত ছিলেন মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দীপু, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহম্মেদ তুহিন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, কামরান হাসান, জাফিরুল ইসলাম, ইসহাক তালুকদার, আকরাম হোসেন খোকন, মেজবাউদ্দীন মিজু মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, জাহিদ কামাল টিটু, মোল্লা ফরিদ আহম্মেদ, শামসুল বারী পান্না, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, মোস্তফা কামাল, আ: আলিম, মেহেদী হাসান সোহাগ, সালাম শেখ, হাসনা হেনা, সিরাজুল ইসলাম লিটন, ইকবাল হোসেন, ডা: ফারুক হোসেন, লিটন তালুকদার, মোঃ আলী, শাকিল আহম্মেদ, জাকারিয়া লিটন, এম হুমায়ুন কবির, কওসারী জাহান মঞ্জু, মুন্নি জামান, ওহাব শরীফ, মোল্যা রাজু আহমেদ, এম হাসান, হাবিবুর রহমান কাজল, শরিফুল ইসলাম সাগর, মল্লিক জাহিদুল ইসলাম, মুমিনুর রহমান নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিঠু, ফিরোজ আহমেদ, আশিকুর রহমান আশিক, শেখ মসফিকুর হাসান অভি, আরিফুর রহমান আরিফ, খান সাইফুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন রিতু, শরীফুল ইসলাম শরীফ, মাহিম আহমেদ রুবেল, মাহমুদুল হাসান মুন্না, হেলাল উদ্দীন, ইমরান হোসেন, খায়রুল ইসলাম রাজু, খায়রুল ইসলাম পিয়াস, হৃদয় হোসেন রিমন, রাজ আহমেদ রাজ, ইবাদুল ইসলাম, জুয়েল রহমান, তুহিন ইসলাম, জুলহাস হোসেন, শেখ আল মামুন, রাজিব শেখ, নাজিম উদ্দীন, আলমগীর, মিরাজ, আজিজুল খান, ইফতেখার আহমেদ প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি