মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, একুশ একটি চেতনা, একটি বৈশ্বিক প্রতীক, একটি মহান বিপ্লবের নাম। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে বাঙালির জীবন উৎসর্গের ঘটনা বিশ্বের বুকে এক অনন্য ইতিহাস।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে অমর একুশের রয়েছে অসামান্য অবদান। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত আজ সারাবিশ্ব। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলা ভাষা আজ বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত চতুর্থ ভাষা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানি শাসকেরা বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন শুরু করেন এবং এদেশের তরুণ সমাজ ও ছাত্ররা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে। তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জন, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে সন্তানদের জানাবেন। তাহলে তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। বিকৃতি ও বিদেশী ভাষার চাপে দিশেহারা না হয়ে বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা করুন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে একাডেমির অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ
আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আকতার, অতিরিক্ত সচিব মো: মুহিবুজ্জামান, মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ‘মায়ের ভাষা শিখি, শুদ্ধভাবে লিখি’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজনে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান করেন।