চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানব পাচার ও হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে কুয়েতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলর গ্রেফতার বাংলাদেশের জন্য চরম লজ্জার।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য চরম লজ্জার হলেও সরকারের টনক নড়েনি।
বুধবার (১০ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, গালফ নিউজ ও কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মানব পাচার ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত একশ’ ব্যক্তির তালিকা করেছে কুয়েত সরকার। সেই তালিকায় ওই এমপির নাম শীর্ষে রয়েছে। সম্প্রতি ওই তালিকার অনেককেই গ্রেফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ। সেই অভিযানেই আটকা পড়েছেন ওই এমপি। বর্তমানে তিনি সে দেশে রিমান্ডে রয়েছেন।
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের হিড়িক পড়ে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমানে এমপি হতে ভোটের প্রয়োজন হয় না। নির্বাচনের আগের রাতেই নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাতের ভোটে এমপি বানিয়ে দেন। লক্ষ্মীপুরের সেই এমপি তারই একটি উদাহরণ।
বিগত ১২ বছরে সুইস ব্যাংকসহ মালয়েশিয়া, কানাডায় লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার মহা দুর্নীতি, দখল ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশজুড়ে যে লুটের মহোৎসব চলছে, কুয়েতে এমপি গ্রেফতার তারই একটি নমুনা মাত্র।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, শুধু পাপলু একাই এমপি হননি, তার স্ত্রীকেও এমপি বানিয়েছেন। যাদের ধনস্ফীতির কোনো বৈধ উৎস জানা যায় না। তাদেরই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে, প্রকৃত রাজনীতিক ও রাজনীতিকে ধ্বংস করে। এরা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে জনগণই ক্ষমতার উৎসকে বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিদায় করে পাপলুদের পরিচর্যা করা হয়েছে নিরন্তরভাবে। পাপলুদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না।