খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার অবশিষ্টাংশ দেশে আছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং বাংলাদেশের সাম্য, মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে হাসিনার প্রেত্মারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। চক্রান্তকারীদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত দেশকে এগিয়ে নিতে এখন সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। দেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্র-জনতার অসীম ত্যাগে এ অর্জন কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।
রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ১৯নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে রক্তস্নাত দীর্ঘ সংগ্রাম ও ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার সকল অপচেষ্টা রুখতে এবং সাম্য ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানের লক্ষ্যে ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তুহিন বলেন, দেশ এখন ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। আমরা চাই দেশে যেন আর বাকস্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা না হয়। আমরা ভোটাধিকার চাই। জনগণকে দেশের মালিকানা ফেরত দেয়া হোক। বিদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা হোক। লুটেরাদের বিচার করা হোক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে আসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন তারেক রহমানের গতিশীল ও যুগান্তকারী নেতৃত্বের পথ ধরেই ছাত্রজনতার চূড়ান্ত আন্দোলনে মাফিয়া সরকারের পতন হয়েছে।
ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মো. শাহ জালালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফকরুল আলম, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, একরামুল কবীর মিল্টন, শেখ জামাল উদ্দিন, তারিকুল ইসলাম, শেখ ফারুক হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, মুজিবর রহমান, সাঈদ হাসান লাভলু, মুফতি রশিদ আহমেদ, মাওলানা মুস্তকে আহমেদ, ক্বারী মো. নুরুল ইসলাম, শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, অসীম মাষ্টার, জাকির ইকবাল বাপ্পি, শফিকুল ইসলাম সাদী, আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজী নজরুল ইসলাম, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, লাবু বিশ্বাস, মিজানুর রহমান মিজান, মনিরুজ্জামান মনি, মো. সাঈদ, হালিম মোড়ল, মুন্নি জামান, ওয়াজিউদ্দিন সান্টু, দেলোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম শান্ত, কাজী শাহিন, হাফিজুর রহমান, পুতুল প্রমূখ। সমাবেশের শুরুতে স্কীনে দেশনায়ক তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্রমেরামতের ৩১দফা জনগনের মাঝে তুলে ধরা হয় এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ মঞ্চ ছেড়ে গ্যালারিতে বসেন।