বাগেরহাট সদর উপজেলার রাধাভল্বব এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ইকরাম শেখ (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে ওই এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইকরাম রাধাভল্লব এলাকার খালেক শেখের ছেলে। তিনি মুদি দোকানী ছিলেন।
গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার স্থানীয় সিদ্দিক হাওলাদার ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে ইকরামের ওপর হামলা হয়। সে সময় ইকরাম ও তার বোনের ছেলে মোহসিন শেখ (৩৫) গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আহতদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই আহতদের খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রোববার সকালে সেখানে ইকরাম মারা যান।
আহত অন্যজনের নাম মোহসিন শেখ। তিনি একই এলাকার বারেক শেখের ছেলে। বর্তমানে মোহসিন খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার পরে আহত মোহসিন শেখের বাবা বারেক শেখ বাদী হয়ে রাধাভল্লব এলাকার সিদ্দিক হাওলাদার, সিদ্দিকের ছেলে সবুজ হাওলদার, সজিব হাওলাদার, ইব্রাহিম হাওলাদার, কেবি বাজার এলাকার আবু হোসেনের ছেলে নাসির এবং গোবদিয়া এলাকার লতিফসহ ছয় জনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন।
বারেক শেখ বাংলানিউজকে বলেন, খলিলের পরামর্শে সিদ্দিক ও তার ছেলেরা ইকরাম ও আমার ছেলের ওপর হামলা করেন। আমি এই হামলার বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, হামলার পরে আহত মোহসিনের বাবা বারেক শেখ বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে ছয় জনকে আমি করে মামলা দায়ের করেন। যেহেতু আহত দু’জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন, তাই ওই মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।