চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃরাজধানীর ‘টেন্ডার কিং’ আলোচিত যুবলীগ নেতা জিকে শামীম বিভিন্ন এলাকায় রিসোর্ট গড়েছেন, কোথাও অংশীদার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এবার বান্দরবানে জমিদখল করে রিসোর্ট গড়ার অভিযোগ উঠেছে।সেখানে তিনি সিলভান ওয়াই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা নির্মাণের অংশীদার হয়েছেন। এই স্পা গড়ার জন্য অনিয়মের মাধ্যমে জমি কেনা ছাড়াও দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার ওই স্পার কারণে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করা হয়। এ বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবান শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক সড়কের পাশে পর্যটনকেন্দ্র নীলাচলসংলগ্ন ছাইংঙ্গ্যাপাড়ায় রিসোর্টটির কাজ চলছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘সিলভান ওয়াই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রায় ৫০ একর এলাকাজুড়ে রিসোর্টটি গড়ে তোলা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিসোর্টটি আটজন মিলে তৈরি করছেন। জিকে শামীমের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলও এতে জড়িত। প্রথম পর্যায়ে ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগে কাজ শুরু করেছেন তারা।
রিসোর্টে জিকে শামীমের অংশীদার জসিমউদ্দিন মন্টু রিসোর্টে মালিকানায় জিকে শামীমের থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেন। ৫০ একর জমি কেনার কথাও বলেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই রিসোর্টের জন্য ৫০ একর জমি সংগ্রহের সময় অনেক পাহাড়িকে উচ্ছেদ করা হয়। জোরজবরদস্তি করে জমিদখল করা হয়। রিসোর্টের মালিকদের বিরুদ্ধে পাড়ার সীমানায় কাঁটাতার দিয়ে তাদের জমিদখলের পাশাপাশি হয়রানি ও চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং তদন্তের পরই প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা ও অবৈধ টেন্ডারবাজির কারণে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় জিকে শামীমকে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় রিমান্ডে আছেন তিনি।