চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অমানবিক। বাস মালিকদের স্বার্থেই এটা করা হয়েছে। সোমবার (১ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এটা অমানবিকতা। কম আয়ের মানুষই বাসে ওঠে। কার স্বার্থে বাস ভাড়া বাড়িয়েছে? মালিকদের স্বার্থে। মালিকদের আবার অনুদান দিচ্ছে। পুরো বিষয়টা হয়েছে লুটপাটের জন্য।
আজ থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে বাস-মিনিবাস চলাচল শুরু হয়েছে। বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনাসহ সরকার বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে। বাড়তি ভাড়া আজ থেকেই কার্যকর হয়েছে। এই ভাড়ার হার করোনাকালের জন্য প্রযোজ্য হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দায়িত্বশীলতা নেই বলেই সরকার তুঘলকি কারবার করছে। জনগণকে মহা বিপদের দিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সরকারের দায়িত্বহীনতা, সমন্বয়হীনতা। মনেই হয় না যে সরকার আছে। একেক বিভাগ একেক রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। সরকারের একলা চলো নীতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কোথায়? আজকে এই কারণেই দেশ ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে।
কৃষকদের করুণ অবস্থা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। ধান কাটার নামে আওয়ামী লীগ নেতারা কৃষকের পাকা ধান নষ্ট করেছেন। কোথাও কাঁচা ধান কেটেছে। বিএনপি কৃষকের ধান কাটতে সহায়তা করেছে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকারের দুর্নীতি ও অদূরদর্শিতার কারণে বাংলাদেশের কৃষি আজ ধ্বংসের মুখে। সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল কম কিনে বেশি কিনছে চালকল মালিকদের থেকে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছে। এখানেও দলীয় ব্যবসায়ী চালকল মালিকদের মুনাফা করে দেয়।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন পেশাজীবী মারা গেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের কিট প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, সেটা কার্যকর। তিনি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেন।