নির্বাচন বিমুখ রাজনীতির কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করতে এসে নওগাঁ সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কোনো বক্তব্য আসলে বোঝা মুশকিল। বিএনপির একেক নেতা একেক ধরনের কথা বলে। জনগণকে জিম্মি করা তাদের রাজনীতি। জনগণকে পুড়িয়ে মারা তাদের রাজনীতি। সেই কারণে তারা নানাভাবে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগেও তারা ডান ও বামপন্থীসহ বিভিন্ন দলকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে চেয়েছিল এবং গঠনও করেছিল। কিন্তু সেই জোটের ফলাফল হচ্ছে নির্বাচনে মাত্র পাঁচটি আসন। এবারও তারা চেষ্টা করছে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলকে কাছে টানার। নির্বাচনের পরে তারা কোন ধরনের সরকার গঠন করবে সেটা নিয়েও তাদের বক্তব্য রয়েছে। তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলছে। তাহলে নির্বাচনের পর কী সরকার গঠন করবে?
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যদি সন্ত্রাস, পেট্রল বোমা, মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং তালেবান আশ্রয়ের রাজনীতি পরিহার করে ক্ষমা না চায়, তাহলে জনগণের কাছে আসতে পারবে না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি সংগঠন হিসেবে ইতোমধ্যেই তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছিল তখন তারা বিচার বন্ধ করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। আমাদের দেশে যখন বিএনপি-জামায়াত পেট্রল বোমা মেরে মানুষকে হত্যা করছিল, তখন তারা কোনো বিবৃতি দেয়নি। ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করছিল তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অনেক ক্ষেত্রেই নিশ্চুপ ছিল। তারা কী বলল সেটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও মুখ্য বিষয় নয়। যদিও আমাদের দেশের কিছু কিছু পত্র-পত্রিকা সেটাকে আবার খুব গুরুত্ব দিয়ে ছাপায়।
পরে মন্ত্রী নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
এর আগে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।