খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ৬নং ওয়ার্ডস্থ নগরীর দৌলতপুরের দক্ষিণাঞ্চলের সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিএল কলেজের অবস্থান। খুলনার আশপাশের এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা হতে প্রতিবছরই এই বিদ্যাপীঠে অসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া উদ্দেশ্য আসে, যদিও করোনা কারণে দীর্ঘ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।
দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর হতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দরুন কলেজটি যেন তার চিরচেনা রুপ ফিরে পেয়েছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার দরুন ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন পর কলেজ চত্ত্বরে বিপুল পরিমান ছাত্রছাত্রীর আনাগোনা আর দৌলতপুরবাসীর চলাচলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন সড়কটির বেহাল দশা আর বড়-বড় খানাখন্দে পরিপূর্ন থাকার দরুন চরম দুর্ভোগ পোহাতে কলেজ আসা শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকসহ চলাচলকারী যাত্রী এবং যানবহনগুলোকে।
দৌলতপুর মেইন সড়কের ট্রাফিক মোড় হতে পূর্বে এ লিংক রোডটি নতুনরাস্তার ট্যাংকলরী সমিতির সংলঘ্নে মিশেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সম্প্রতি সময়টিতে গুরুত্বপূর্ন এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কঠিন আর কষ্টের হয়ে পড়েছে। এ সড়কটিতে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গেলেই প্রতিনিয়ত খানাখন্দের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে সেই সাথে সামান্য বৃষ্টিতে এ সড়কটি খানাখন্দের কারণে হাঁটু সমান পানি জমা হয়ে ছোট বড় যানবহনসহ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছ।
বর্তমান সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কের জোয়ারে ভাসছে। কিন্তু কেসিসি’র উদ্যেগে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে নুতন রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও কেসিসি’র আওতাধীন ৬নং ওয়ার্ডস্থ বিএল কলেজ সম্মুখ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে বেহাল দশায় পড়ে আছে জানিয়েছেন এলাকায় বসবাসকারীসহ ব্যবসায়ীমহল।
খানাখন্দ থাকা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিনই শতাধিক ইজিবাইক, ইট-বালি বহনকারী ছোট-বড় মাঝারী যানবহন চলাচল করে। খানাখন্দের কারণে এ সড়কদিয়ে যানবহন চলাচল করতে সম্প্রতি প্রায় শিকার হচ্ছে দূর্ঘটনার।
ব্যবসায়ী আলামিন জানান, দৌলতপুর বাজার হতে ট্যাংকলরী মোড় পর্যন্ত বিএল কলেজ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে বেহাল দশায় পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে থাকার কারনে এ রাস্তা দিয়ে জনসাধারণের প্রতিদিনের চলাচলে দারুন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার নতুন সংস্কার বা মেরামতের ব্যাপারে দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আশু প্রতিকারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কেসিসি’র সূত্রে জানা গেছে, খুলনার বিভিন্ন উন্নয়ণকল্পে ২৮শ’ কোটি টাকা মধ্যে বিএল কলেজ সড়কটিও সংস্থারের ব্যয় রাখা হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া মাত্র কেসিসি যথাসময়ে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে কেসিসি সূত্র।
শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীর দাবি নতুন রাস্তুা সংস্কারের পূর্বে আপাতত চলাচলের জন্য নূন্যতম জোড়াতালির কাজ করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হোক।