বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মামনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মাতৃভূমির প্রতি তাঁদের প্রেম, দায়বোধ,
সাহসিকতা ও অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন এ রাষ্ট্র। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও এ রাষ্ট্রের দায় আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সম্মানজনক ভাতা নির্ধারণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস আবাসন প্রকল্প চালু করেছে। এর মাধ্যমে সারা
দেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একতলাবিশিষ্ট আবাসন করে দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা সাংবাদিক ইউিনয়ন (কেইউেজ) এর উদ্যোগে বুধবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ শেখ আবু নাসের ব্যাংকুয়েট হলে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধোদের সম্মাননা,
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনা ও মুক্তিযুদ্ধিভিত্তিক স্বল্পদের্ঘ চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলা’ প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্ত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, খুলনা
সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুস্পুত্র ও খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন
জুয়েল, বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, খুলনা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, রুপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ।
অনুষ্ঠানে খুলনার ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধোদের সম্মাননা স্বরুপ ক্রেষ্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, শেখ কামরুজ্জামান টুকু, আ ব ম নুরুল আলম, স ম বাবর আলী, মকবুল হোসেন মিন্টু, ডি কে হালদার, অধ্যাপক মো. আলমগীর, মো. মাহাবুবুর রহমান, বিনয় বিনয় কৃষ্ণ সরকার, মো.বজলুর রশীদ আজাদ, মো. আবু দাউদ, মো. আব্দুল মান্নান সরদার, হরিপদ মল্লিক, মহম্মদ আবুল হোসেন, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. আব্দুল মালেক। এসময় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন বৃহত্তর খুলনার মুজিব বাহিনীর প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকু, অব. ক্যাপটেন ডি কে হালদার।
সম্মাননা প্রদান শেষে শায়লা রহমান তিথির কাহিনী ও পরিচালনায় নির্মিত মুক্তিযুদ্ধিভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জয় বাংলা প্রদর্শন করা হয়। এবং পরে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শোনেন উপস্থিত সকলে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মল্লিক সুধাংশু, খুলনা
সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম, আলমগীর হান্নান, কোষাধ্যক্ষ দিলীপ বর্মন, দপ্তর সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ, নির্বাহী সদস্য মিলন হোসেন ও শেখ জাহিদুল ইসলাম, বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবির, খুলনা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, খুলনা মহানগর স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম প্রমুখ।